ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও অর্থনীতিবিদ এম এম আকাশ বলেছেন, ক্রমাগত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এই নীতির মধ্যে কোনো স্বচ্ছতা নেই। কেন দাম বাড়ানো হচ্ছে সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা নেই। এর স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।
রোববার (৩০ জুন) কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত জ্বালানি বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
এম এম আকাশ বলেন, আগে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে সব পক্ষের একটি আলোচনা হতো। জনগণ দাম বাড়ার কারণ জানতে পারতো। আর এখন মন্ত্রণালয় যেভাবে দাম বাড়াচ্ছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই, এর সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
বিদ্যুৎ সঞ্চালনে সমন্বয়হীনতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপির সময়ে আমরা বলতাম খাম্বা আছে বিদ্যুৎ নেই। বিদ্যুৎ সঞ্চালনের ব্যবস্থা করে খাম্বা দিয়েই টাকা খরচ করা হয়েছে। এখন এসে বিদ্যুৎ কারখানা আছে, কিন্তু সঞ্চালন নেই। সমন্বিত চিন্তা না থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই সামিটের মতো কোম্পানি বড় রকমের ক্যাপাসিটি চার্জ নিয়ে নিচ্ছে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাইলে সবার আগে বিদ্যুৎ খাতের টেন্ডারগুলোকে স্বচ্ছ করে দিতে হবে। বাজার অর্থনীতি করতে চাইলে এই খাতকে প্রতিযোগিতামূলক করতে হবে। প্রতিযোগিতা না থাকলে, সুশাসনের অভাব থাকলে দাম বাড়তেই থাকবে বলে জানান এ অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, বর্তমানে পাওয়ার পাম্পের ৮২ শতাংশ চলে ডিজেলে, ১৪ শতাংশ চলে বিদ্যুৎ এ। এখানে নিরাপদ জ্বালানি ব্যবহার করা যেতে পারে। সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে এই পাম্পগুলো চালানো সম্ভব।
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) আমদানি প্রসঙ্গে আকাশ বলেন, এলপিজি আমদানি নীতিতে বাংলাদেশ সরকার কতটা নিরপেক্ষ এবং তাদের কাজ কতটা জনগণের স্বার্থকেন্দ্রিক সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার। এলপিজি আমদানি যেন ব্যক্তিস্বার্থের দিকে না তাকিয়ে দেশের স্বার্থে করা হয় সেটি নিয়ে ভাবার এবং পদক্ষেপ নেয়ার সময় এসেছে।