সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে আলু ও পেঁয়াজের দাম। সংকট না থাকলেও কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। বাড়তি ডিম ও সবজির দামও। বাজার করতে ভোগান্তি পড়ছেন ক্রেতারা। কোরবানির ঈদের পর পণ্যের চাহিদা বাড়ায় বাড়তি দাম আদায়ের রয়েছে অভিযোগ। তবে বিক্রেতাদেরও রয়েছে নানা অজুহাত।
রাজধানীর বাজারগুলোতে আলুর কোনো সংকটই নেই। আড়ৎ থেকে খুচরা দোকান, সবখানেই সরবরাহ রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু অহেতুক দাম গুনতে হচ্ছে বেশি।
বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে। ঈদের আগে যা ছিলো ৫৫ টাকা। টিসিবির হিসাবে মাত্র এক সপ্তাহে দাম বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ পর্যন্ত। যদিও বাড়তি দামের জন্য নানা অজুহাত দিচ্ছেন বিক্রেতারা।
কারওয়ান বাজারে আসা একজন বলেন, ‘মানুষের আয় বাড়েনি, কিন্তু সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য বাজার করে চলা খুব কঠিন হয়ে যাচ্ছে। ওভাবে কেউ বাজার তদারকিও করছে না।’
আলুর পাশাপাশি পেঁয়াজের দামেও নেই স্বস্তি। ঈদের পর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। আর ডিমের দাম এখনো চড়া। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিম কিনতে হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
এদিকে, মূল্য তালিকা না থাকায় কারওয়ান বাজারে এক মুদি দোকানিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তদারকি দল। আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজারে কারসাজি রোধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলেও জানায় সংস্থাটি।
সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আজকে একটা প্রতিষ্ঠানকে, মূল্য তালিকা না থাকার জন্য আমরা জরিমানা করেছি। এটা কিন্তু আমাদের নিয়মিত কাজ। সারাদেশেই এটা করা হয়। আজকেও কিন্তু চারটি টিম বের হয়েছে।’
কোরবানি ঈদের পর চাহিদা বেড়েছে সবজির। এ সুযোগে দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা। বেগুন, করলা, টমেটোর জন্য গুনতে হচ্ছে কেজিতে ১০০ টাকারও বেশি।