বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

টক নাকি মিষ্টি দই, কোনটি উপকারী, জানালেন পুষ্টিবিদ

  • আপডেটের সময় : রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪, ১২.৫৪ পিএম
  • ১১৫ টাইম ভিউ

 

বাঙালির যেকোনো উৎসব-আয়োজনে রকমারি পদের খাবারের আয়োজন করা হয়। আর মজাদার সেসব খাবারের মধ্যে অন্যতম একটি পদ হচ্ছে দই। যা খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার। আয়োজন ছাড়াও গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখার জন্যও অনেকেই দই খেয়ে থাকেন। এই দইয়ের মধ্যে আবার ধরনও রয়েছে। কারও পছন্দ টক দই, আবার কারও মিষ্টি দই।

টক বা মিষ্টি দই যেটাই পছন্দ হোক না কেন, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো বেশি তা কি জানা আছে আমাদের? এ ব্যাপারে দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানীর মিরপুর জেনারেল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পুষ্টিবিদ তারানা জান্নাত মুমু। তার মতে, প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ দই শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণে বেশ কার্যকরী একটি খাবার। আবার যাদের দুধ পানে হজমে সমস্যা হয়, তারা চাইলে নিয়মিত দই খেতে পারেন।

দইয়ের উপকারিতা: প্রোবায়োটিক উপাদান সমৃদ্ধ দই খাওয়ার ফলে পরিপাকতন্ত্র ভালো থাকে। এতে থাকা ল্যাকটোব্যাসিলাস ব্যাকটেরিয়া হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও ভিটামিন ডি থাকায় হাড়ও মজবুত করে দই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে। এছাড়া সহজপাচ্য হওয়ার কারণে বাড়ির ছোট থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত সবাই খেতে পারেন দই।

টক নাকি মিষ্টি দই, কোনটি খাবেন: টক ও মিষ্টি দইয়ের পুষ্টিগুণ একই। দুটি আলাদা স্বাদের হলেও উপকারিতা একই। তবে মিষ্টি স্বাদের জন্য অধিকাংশ মানুষের পছন্দ মিষ্টি দই। যদিও টক দই খাওয়া ভালো। কেননা টক দইয়ে মিষ্টিজাতীয় কিছু যোগ করার প্রয়োজন হয় না। আবার চিনি শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি করে থাকে।

ডায়াবেটিস নেই ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকা ব্যক্তিরা মিষ্টি দই খেতে পারেন। তবে নিয়মিত মিষ্টি দই খাওয়া যাবে না। কেননা, মিষ্টি দইয়ে চিনি যোগ করার ফলে ক্যালোরি বেড়ে যায়। এ থেকে শরীরের ওজন ধীরে ধীরে বেড়ে যায়। আবার শরীরে গ্লুকোজের মাত্রাও বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। যা থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দেয়ার আশঙ্কা থাকে।

অনাকাঙ্ক্ষিত বেড়ে যাওয়া স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য টক দই উপকারী। এ জন্য যারা স্বাস্থ্য কমাতে চান তারা নিয়মিত খাদ্যতালিকায় টক দই রাখতে পারেন। তবে যারা টক দই একদমই খেতে পারেন না, তারা এর সঙ্গে বিভিন্ন ফলমূল, খেজুর বা এক চিমটি পরিমাণ গোল মরিচ দিয়েও খেতে পারেন। আর যাদের ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা রয়েছে, তাদের মিষ্টি দই এড়িয়ে চলতে হবে। তাদের জন্য টক দই। এছাড়া যাদের ক্যানসার বা এ সংক্রান্ত জটিলতা রয়েছে, তাদের মিষ্টি দই না খাওয়াই ভালো। কেননা, চিনি ক্যানসারের কোষ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র