বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

জাহাজে করে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য

  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, ১৪ জুন, ২০২৪, ৯.৪২ এএম
  • ৩৭ টাইম ভিউ

মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে নৌযান চলাচল বন্ধ থাকার ৯ দিন পর অবশেষে সেন্টমার্টিনে যাচ্ছে চাল ও ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য। প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে পাঠানো হয়েছে ২০০ মেট্রিক টন খাদ্যপণ্য। একই সঙ্গে টেকনাফে আটকে পড়া দেড়শ যাত্রীও ফিরে যাচ্ছে এ প্রবাল দ্বীপে।

শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা ১১টায় সরেজমিনে দেখা যায়, কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে ভিড়ছে একের পর এক ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে চাল, ডাল ও তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী।

মিয়ানমারের গোলাগুলির কারণে গেল ৯ দিন সেন্টমার্টিনে পৌঁছানো যায়নি খাদ্যপণ্য। যার কারণে দ্বীপে দেখা দেয় খাদ্য সংকট। অবশেষে ৯ দিন পর প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাহাজে করে কক্সবাজার থেকে সেখানে পৌঁছানো হচ্ছে খাদ্যপণ্য।

অছিম উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রশাসনের উদ্যোগে জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই চাল ও ডাল থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য কক্সবাজার থেকে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন নিয়ে যাচ্ছি। এখন আর দ্বীপে খাদ্য সংকট থাকবে না।

খাদ্যপণ্যের পাশাপাশি দ্বীপে ফিরে যাচ্ছে টেকনাফে আটকেপড়া অনেক বাসিন্দা। নিরাপদে দ্বীপে ফিরে যেতে ব্যবস্থা করায় দারুণ খুশি তারা। তবে তাদের দাবি, জাহাজটি যাতে মিয়ানমারের সংঘাত বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত চলাচল করে।

দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, নিরাপদে জাহাজে করে সেন্টমার্টিন যেতে পারছি, খুবই ভালো লাগছে। ১০ দিন টেকনাফে আটকে ছিলাম; এখন দ্বীপে ফিরছি।

প্রশাসন ও জাহাজ কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজে পাঠানো খাদ্য দিয়ে আগামী একমাস দ্বীপের বাসিন্দারা চলতে পারবে। আর প্রশাসন চাইলে জাহাজটি কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন চলাচল করবে।

এমভি বারো আউলিয়া জাহাজের পরিচালক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, প্রশাসন যতদিন চাইবে, ততদিনই কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল করবে। এ জাহাজের ১২ মাস চলাচলের সক্ষমতা রয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, আপাতত বিশেষ ব্যবস্থায় খাদ্যপণ্য পাঠানো হয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপে। এসব পণ্য আগামী একমাস চলবে। পরে যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বঙ্গোপসাগর হয়ে ৪টি ট্রলারে করে টেকনাফ ফিরেছে ৩০০ যাত্রী, আর টেকনাফ থেকে দ্বীপে ফিরে যায় ২০০ বাসিন্দা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র