নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রায় এক দশক পর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফরে যেতে পারেন। সরকারপ্রধানের সম্ভাব্য সফর নিয়ে আগামীকাল সোমবার (৩ জুন) বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও চীনের উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী (সচিব) সুন ওয়েডং আলোচনায় বসবেন। এ ছাড়া বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র সচিবদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের কর্মকর্তারাও চীনের অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবেন।
বৈঠকে চীনের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত নানা প্রকল্প নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাণিজ্য সহায়তা হিসেবে বাংলাদেশকে দেয়া দেশটির ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ঋণের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার কথা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে যোগ দেবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরাও।
জানা গেছে, আগামী সোমবার অনুষ্ঠেয় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে রাজনীতিসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। যেখানে উন্নয়ন প্রকল্প, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মতো দ্বিপক্ষীয় বিষয়ও থাকবে। এ ছাড়াও রোহিঙ্গা সংকটসহ বহুপক্ষীয় নানা বিষয় নিয়েও আলোচনা হবে। সেই সঙ্গে যোগাযোগ অবকাঠামোর মতো সংযুক্তির নতুন প্রকল্পে চীনের যুক্ত হওয়ার ঘোষণাও আসতে পারে।
এদিকে, আম রপ্তানির বিষয়ে সরেজমিনে আলোচনার জন্য জুনের দ্বিতীয়ার্ধে চীনের একটি প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে। বাংলাদেশ চাইছে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে যেন আম রপ্তানির বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো ঘোষণা আসে। এ ছাড়াও সরকারপ্রধানের সফরকে সামনে রেখে সড়ক অবকাঠামো তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, রেল, বন্দরসহ নানা খাতে চীনকে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিতে আগ্রহী বাংলাদেশ।