বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

শেখ হাসিনাই প্রথম যিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়েছেন

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৫ আগস্ট, ২০২৪, ৬.৪৭ পিএম
  • ২৪ টাইম ভিউ

 

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো সরকারপ্রধান, যিনি পদত্যাগে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। এর আগে বাংলাদেশের কোনো সরকারপ্রধান বা রাষ্ট্রপ্রধানের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেনি।

সদ্য সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী সোমবার সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে দেশ ছাড়েন। যাওয়ার সময় সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

প্রবল গণআন্দোলনে এখন পর্যন্ত হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তবে এরশাদ দেশ ছাড়েননি। তিনি দেশেই ছিলেন। ২০০৬ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। তবে ওই সরকার নির্বাচন করতে না পারলে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেয়। এরপর থেকে খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলা হলেও তিনি যেতে রাজি হননি।

পদত্যাগ করার কয়েকদিন আগেই কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর পালানোর গুজব প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ‘শেখ হাসিনা পালায় না।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক–সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ছাত্ররা এদেশে একটা নতুন ইতিহাস তৈরি করেছে। এই কৃতিত্ব তাদের। তিনি বলেন, আমার জানামতে পতনের পর কোনো সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানের এভাবে পালিয়ে যাওয়ার নজির নেই। একমাত্র গণতান্ত্রিক চর্চা আর মানুষের আস্থাই পারবে ভবিষ্যতে সরকারগুলোতে এমন পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে।

১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতার পর থেকে গত ৫৩ বছরে যারা সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন তাদের মধ্যে কেউ রাষ্ট্রপতি, কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ প্রধান উপদেষ্টা আবার কেউ সামরিক শাসন জারি করে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে দেশ পরিচালনা করেছেন।

বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতি এবং সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বপালন করেন। ১৯৯৫ সালের আগস্টের ১৫ তারিখে একদল সামরিক কর্মকর্তার হাতে শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হন।

শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদকে রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত করা হয়। ওই দিনই দেশে সামরিক আইন জারি করেন। ওই বছরের ৬ই নভেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি থাকার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ওই দিন তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন।

ওই সময় তিন নভেম্বরের অভ্যুত্থানে সেনাপ্রধান জেনারেল জিয়াউর রহমান পদচ্যুত হন। অভ্যুত্থানের নেতা ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ নিজেকে সেনাপ্রধান ঘোষণা করেন এবং ছয়ই নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েমকে রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত করেন। পর দিন খালেদ মোশাররফ নিহত হন। তখন সেনাপ্রধান পদে আবার আসেন জিয়াউর রহমান।

এরপর ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট সায়েমকে সরিয়ে নিজেই রাষ্ট্রপতি হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। এর এক বছর গণ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক ব্যর্থ সেনা অভুত্থানে নিহত হন জিয়াউর রহমান। তাঁর মৃত্যুর পর রাষ্ট্রপতি হন আবদুস সাত্তার। তবে বেশিদিন ওই পদে থাকেননি তিনি। এক বছর পর সেনাপ্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তাঁর শাসনামল শেষ হয় ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর।

এছাড়া অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে সাহাবুদ্দিন আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বিচারপতি হাবিবুর রহমান, বিচারপতি লতিফুর রহমান, অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহমেদ ও ড. ফখরুদ্দিন আহমেদ দায়িত্ব পালন করে পরবর্তী সরকারের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র