বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

গুজবে সয়লাব সামাজিক মাধ্যম, স্বার্থান্বেষী মহলের ভুয়া তথ্যে বিভ্রান্তি

  • আপডেটের সময় : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ১২.২৯ পিএম
  • ১২ টাইম ভিউ

সাম্প্রতিক নানা ইস্যুতে গুজবে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। যা দেখে বিভ্রান্তও হচ্ছেন অনেকে। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় স্বার্থান্বেষী মহল। ফলে কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া বিশ্বাস ও ছড়িয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ তাদের।

বর্তমান সময়ে গুজব ছড়ানো যেন সবচেয়ে সহজ কাজ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে খুব দ্রুত যে কেউ যে কোনো তথ্য যেমন ছড়াতে পারেন। আবার চাইলে অপতথ্য কিংবা গুজবের বিস্তার ঘটাতেও পারন সহজেই।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভর করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করে একটি মহল। বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক অপতথ্য ছড়ানো থেকে শুরু করে নানা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও গুজব ছড়াতে পিছপা হননি একশ্রেণির মানুষ। কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর খবর ও আন্দোলনে প্রাণহানির সংখ্যা নিয়েও ছড়ানো হয় গুজব। এসব খবর বিভ্রান্তি ছড়ায় নেটিজেনদের মধ্যে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলছেন, যে কোনো আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এসব গুজব আন্দোলনকে আরও উসকে দিচ্ছে, প্রাণহানি ঘটছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের গুজব সমাজে তৈরি করে বিশৃঙ্খলা, যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই যে কোনো খবর যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস করা ও ছড়িয়ে দেয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ তাদের।

সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটিটিভ স্টাডিজ পরিচালক সুমন রহমান বলেন, আমি যদি কোনো ঘটনার পক্ষে থাকি, তখন সেই ঘটনা সাপোর্ট করে এমন কোনো তথ্য পেলে আমরা সাথে সাথেই বিশ্বাস করে ফেলি। কারণ আমার মতের সাথে যাচ্ছে। সেটা মিথ্যা হলেও এ রকম মিলে যাওয়ার কারণে মানুষ যাচাই করতে ভুলে যায়। কেউ সাথে সাথে শেয়ার করে ফেলে, লাইক-কমেন্ট করে ফেলে।

তাই যে কোনো তথ্য সাথে সাথে শেয়ার না করে একটু অপেক্ষা করার পরামর্শ তার। সুমন বলেন, যদি সত্য হয় তখন শেয়ার করলে ক্ষতি নেই। গুজব কিন্তু খুব বেশি সময় স্থায়ী থাকে না। কিছুক্ষণের মধ্যে সত্যতা বেরিয়ে যায়।

একইসঙ্গে গুজব প্রতিরোধে সমাজের সব স্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির আহ্বান জানান যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র