বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

কোটা আন্দোলনকে ঘিরে পরিবহন খাতে ক্ষতি ১০ হাজার কোটি টাকা!

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪, ১১.২২ এএম
  • ১২ টাইম ভিউ

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সুযোগে সহিংসতাকারীদের অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরে পরিবহন খাতে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আর শাটডাউন ও কারফিউ চলাকালীন যানবাহন বন্ধে দৈনিক ক্ষতি হয়েছে ৫০০ কোটি টাকার ওপরে — এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতি। সরকারি ও বেসরকারি খাত মিলিয়ে এ ক্ষতির পরিমাণ ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে বলে মত অর্থনীতিবিদদের।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে রাজধানীসহ পুরো দেশ। পালন করা হয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি। এতে বন্ধ থাকে যান চলাচল। আর শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে জ্বালাও-পোড়াও ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে নামে একদল দুর্বৃত্ত। ভাঙচুর ছাড়াও পুড়িয়ে দেয়া হয় বহু বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক। এরপর সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকারের দেয়া কারফিউতেও বন্ধ থাকে গাড়ির চাকা।

বাংলাদেশ পরিবহন মালিক সমিতির তথ্য বলছে, সহিংসতা চলাকালীন সারা দেশে মোট ২০০টির বেশি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে নাশকতাকারীরা। এতে ক্ষতি হয়েছে ২৫ কোটি টাকার ওপরে। আর যান চলাচল বন্ধের টানা ৮ দিনে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত ৪ হাজার কোটি টাকা।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যেকোনো আন্দোলন-সহিংসতায় প্রধান টার্গেট হয় পরিবহন। এতে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি আর শঙ্কায় সময় কাটে মালিক ও শ্রমিক উভয়ের।

ঢাকা সড়ক মালিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল আলম খোকন বলেন,
যানবাহনে আগুন দিলে এর ভয়াবহতা বেশি হয়। জীবনযাত্রায় এর প্রভাবও বেশি পড়ে। এজন্যই হয়তো পরিবহনকে সব সময় টার্গেট করেন আন্দোলনকারীরা।

বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘আমাদের গাড়ি রাস্তাঘাটে চলে। এগুলো তো আর তালা দিয়ে আটকে রাখা যাবে না। ধড়ফড় ধড়ফড় পরিস্থিতির মধ্যেই আমাদের দিন যায়।’

পরিবহন খাতে নৈরাজ্য অর্থনীতির জন্যও হুমকিস্বরূপ বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন,
সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের বিভিন্ন যানবাহন পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করলে ১০ হাজার কোটি টাকার কম হবে না।

যেকোনো পরিস্থিতিতে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি নিরাপত্তা চান পরিবহন মালিকরা।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র