আদালতে দু’পক্ষের আইনজীবীদের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা তর্কবিতর্কের পর প্রায় ২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। পরে আদালত আগামী ৫ই আগস্ট মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।
এদিনও আদালতের ভেতর থাকা লোহার খাঁচা নিয়ে কথা বলেন ইউনূস। তিনি একে মানবতার অপমান বলে উল্লেখ করে বলেন, আদালতে খাঁচার ভেতর ঢোকানো জাতীর প্রতি অপমান।
এসময় প্রতিহিংসা বা রাজনীতির শিকার কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, কিছু একটার শিকার তিনি। এদিন সকাল ১১টায় আদালতে আসেন ড. ইউনূস। এরপর প্রায় ঘণ্টাখানেক দুপক্ষের বাদানুবাদের পর ঢাকার বিশেষ জজ-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালতে এই সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ হয়।
আজ সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ থাকলেও এর আগে ড. ইউনুস সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ পেছানোর আবেদন প্রেক্ষিতে শুনানির দিন পেছায় আদালত। গত ১২ জুন ড. ইউনুসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে, আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত ২ এপ্রিল ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আস সামছ জগলুল হোসেন দুদকের দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে মামলাটি বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ২৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেয় দুদক। আর গত বছরের ৩০ মে দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদি হয়ে ১৩ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এর আগে একই আদালতে গত ৩রা মার্চ ডক্টর ইউনূসসহ সাত আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন নেয়।