চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আদালতের মামলার বিষয় বলে এড়িয়ে গেলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ শনিবার মাদারীপুরের শিবচরে দেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুডিশিয়াল একাডেমি নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত জায়গা পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এটি আদালতের বিষয় বলে এড়িয়ে যান।
এ সময় আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন যে যখন কোনো মামলা আদালতে থাকে আমি আইনমন্ত্রী হিসেবে সেই মামলার বিষয়ে কোনো কথা বলি না। আমি এবারও এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে চাই না।’
মাদারীপুরের শিবচরে দেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় এবং জুডিশিয়াল একাডেমি নির্মিত হবে জানিয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা খুব আনন্দিত যে শিবচরে দুটি প্রতিষ্ঠান বিচার বিভাগ থেকে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার একটা ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি করার প্রস্তাব পাস করেছে। এটা শিবচরে করা হবে। এটার জন্য জমি অধিগ্রহণের টাকা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। কিছুদিনের মধ্যে এই জমির টাকা বিতরণ করা হবে।’
আইনমন্ত্র আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম একটা আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে যেটার নাম হবে বাংলাদেশ আইন বিশ্ববিদ্যালয়। সেই বিশ্ববিদ্যালয়টাও পরিকল্পনা করেছি এই শিবচরেই করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর সেই ইচ্ছা মোতাবেক আমি আজ বিশ্ববিদ্যালয়টার জন্য জায়গা দেখতে এসেছি। আমরা তিনটা জমি দেখেছি। চিফ হুইপ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছেন। আপনাদের মাধ্যমে আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আমাকে তিনটাই খুব ভালো জায়গা দেখিয়েছেন। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যেটা ঠিক হবে আমরা সেটাই সিদ্ধান্ত নেব। আমরা কিছুদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেব কোথায় সেটা হবে।’
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুরে পদ্মা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, পৌরসভার শেখ হাসিনা সড়ক, চরশ্যামাইলে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন আইনমন্ত্রীসহ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও আওয়ামী লীগ সংসদীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নূর-ই-আলম চৌধুরী, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার প্রমুখ।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মারুফুর রশীদ খান, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. মো. সেলিম, পৌর মেয়র মো. আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ।