বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধের মতো সিদ্ধান্ত সাবেক তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাস্তবায়ন হয়।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বরাবর দাখিল হওয়া প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে একাধিকবার দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউন হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয় এবং বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৫-১৬ জুলাই ২০২৪ সময়কালে মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮ জুলাই ২০২৪ হতে ২৩ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত ও ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করা হয়। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়া সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় কাজটি সম্পন্ন করা হয়।
অপরদিকে, গত ১৭ জুলাই ২০২৪ থেকে ২৮ জুলাই ২০২৪ পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বর্ণিত সময়ে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সঙ্গে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সঙ্গে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে প্রচারণার মাধ্যমে সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির সঙ্গে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন।
এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলমান আছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।