ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির একটি খেলার মাঠে রকেট হামলাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ইসরাইল-লেবানন সম্পর্ক। ইসরাইল এই হামলার দায় চাপিয়েছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর ওপর। এই অভিযোগে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলাও করেছে তেল আবিব। যদিও হামলার সঙ্গে কোন ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে সাফ জানিয়েছে হিজবুল্লাহ। তারপরও এই উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে যে কোন সময় যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা বাড়ছে।

গত শনিবার (২৭ জুলাই) হামলাটি হয় মাজদাল শামসের দ্রুজ শহরের একটি খেলার মাঠে।

এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, গোলান মালভূমিতে রকেট হামলার ঘটনায় হিজবুল্লাহ যে জড়িত তার প্রমাণ রয়েছে।

ব্লিঙ্কেন বলেন, নাগরিকদের রক্ষা করতে ইসরাইলের অধিকারের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র থাকবে। এছাড়া গাজায় যুদ্ধবিরতি ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনার একটি সুযোগ বলেও জানান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে ইসরাইলের সঙ্গে কথা বলেছে এবং সংঘাত না ছড়িয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বু হাবিব বিবিসিকে জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন না যে হিজবুল্লাহ এই জঘন্য হামলা চালিয়েছে।

এই ঘটনাকে তিনি মারাত্মক বিপর্যয় বলে উল্লেখ করেন। বলেন, তার মানে এই নয় যে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আরও হত্যাকাণ্ড চলবে।

অন্যদিকে ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী ইয়োভ কিশ বলেন, তিনি আশা করেন সর্বশক্তি দিয়ে রকেট হামলার জবাব দেবে ইসরাইল। এমনকি যদি এর অর্থ লেবাননের হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু বোঝায়, তাহলেও।

ইসরাইলের মিলিটারি চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভি বলেন, গোলান মালভূমিতে রকেট হামলার পর হিজবুল্লাহর সঙ্গে লড়াইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে প্রস্তুত হচ্ছে তাদের সেনাবাহিনী।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ইসরাইল থেকে অনেক দূরবর্তী স্থানেও আমরা হামলা করতে সক্ষম। সেখানে অনেক চালেঞ্জ আছে। আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

এদিকে, নিহতদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে ইসরাইলের এক মন্ত্রী মাজদাল শামসে এলে সেখানকার বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তারা ইসরাইলের মন্ত্রীকে দেখে চিৎকার করতে থাকেন এবং তাকে চলে যাওয়ার জন্য বলেন।

শনিবার (২৭ জুলাই) ইসরাইল অধিকৃত গোলান মালভূমির পবিত্র মাজদাল শামসের দ্রুজ শহরের একটি খেলার মাঠে রকেট হামলা চালানো হয়। এই হামলায় ১২ জন কিশোর নিহত হয়। যাদের বয়স ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা