নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ছিনিয়ে নেয়া ৮২৬ আসামির মধ্যে ৪৮১ জন থানা ও আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। এছাড়া কারাগার থেকে লুট হওয়া ৪৫টি অস্ত্র উদ্ধার, লুট হওয়া হ্যান্ডকাফ ও প্রায় ১১ শ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৬ জুলাই) নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার বরুয়া এলাকা থেকে হিজবুত তাহেরি সংগঠনের নেতা জুয়েল ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। এ নিয়ে ছিনিয়ে নেয়া নয় জঙ্গির মধ্যে নারীসহ দুজনকে ঢাকা থেকে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট, একজনকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থেকে র্যাব এবং অপরজনকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে নরসিংদী গোয়েন্দা পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, স্বাধীনতা বিরোধীরা গত শুক্রবার কারাগারে অগ্নিসংযোগ করে ক্ষান্ত হয়নি। তারা ডিসি অফিস, এসপি অফিস, আদালত পাড়াসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করে। তারা কারাগার থেকে অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীদের হামলায় পুলিশের ৩৩ জন সদস্য আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এক পুলিশের মাথায় ৭৫টা সেলাই লেগেছে। একজনের অবস্থা এখনও গুরুতর।
পুলিশ সুপার বলেন, নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার পর লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে নামে পুলিশ। মাত্র ৫দিনের ব্যবধানে লুট হওয়া ৮৫টি আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে ৪৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ৪৫টির মধ্যে ২০টি চায়না রাইফেল, ১৫টি রাইফেল এবং ১০টি শটগান রয়েছে। ১ হাজার ৯১টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি কারাগারে হামলার ঘটনায় পৃথক ১১টি মামলায় ১৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাছাড়া এই পর্যন্ত আইনজীবী সমিতি এবং জেলা পুলিশের সহায়তায় পালিয়ে যাওয়া ৪৮১জন কয়েদি আত্মসমর্পণ করেন।