ফিলিস্তিনের গাজায় ত্রিমুখী হামলা চালিয়েছে বর্বর ইসরায়েল। সোমবার গাজার স্থল, জল ও আকাশপথে ব্যাপক হামলা চালায় দেশটি। অন্যদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি থেকে সরে এসেছে হামাস। ফলে এই সংঘাত থামারও কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
এএফপি সোমবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এদিন উত্তর গাজার আল-হাওয়া, শেখ আজলিন ও আল-সাবরা এলাকায় বোমা ও গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। মধ্য গাজার আল-মুগারাকা এলাকাও ইসরায়েলের গোলা আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস ও রাফা এলাকায় সামরিক নৌযান ও হেলিকপ্টার থেকেও হামলা চালানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্টের দেওয়া তথ্য মতে, মধ্য গাজার আল-মাগাজি শিবিরে ইসরায়েলি হামলায় তিন শিশুসহ পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী তাদের এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজার সীমান্ত এলাকায় তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। রাফা ও মধ্য গাজার হামলায় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধাকে হত্যা করেছে তারা। এছাড়া বিভিন্ন স্থাপনাতেও হামলা চালানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত চলমান ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৩৮ হাজার ৩০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে ৮৮ হাজার ২৪৫ জন । ইসরায়েলের হামলার আগে ওই দিন দেশটিতে ঢুকে এক হাজার ১৯৫ জনকে হত্যা করেন হামাস সদস্যরা। এ ছাড়া জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। তাদের মধ্যে ১১৬ জন এখনো হামাসের হাতে বন্দি।
জিম্মিদের মুক্ত করতে ও গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য দফায় দফায় আলোচনায় বসছে ইসরায়েল ও হামাস। তবে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। এরই মধ্যে গতকাল রবিবার যুদ্ধবিরতির চলমান আলোচনা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছে হামাস। হামাস নেতা মোহাম্মদ দাইফকে হত্যাচেষ্টার সময় ৯২ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পরে থেকে এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি।