এখনও অনিয়মেই চলছে টিসিবির ফ্যামেলি কার্ডে পণ্য বিক্রি। এক পরিবারে একটি থাকার কথা থাকলেও অনেক পরিবারেই মিলছে একাধিক কার্ড। যদিও তা পুরোপুরি অস্বীকার করছেন জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে, নতুন স্মার্ট কার্ড দিয়ে অনেকেই কিনতে পারছেন না ভর্তুকি মূল্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য। এমন অভিযোগে কার্ড তৈরিকারী প্রতিষ্ঠানের দাবি, জালিয়াতি ঠেকাতে গিয়েই দেখা দিয়েছে জটিলতা। সমস্যা এড়াতে শুধু কার্ড হাতে পেলেই হবে না, যথাযথ নিয়মে তা এক্টিভেট করার পরামর্শ প্রতিষ্ঠানটির।
ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৯ নাম্বার ওয়ার্ড। কড়াইল বস্তিতে বসবাসকারী এক ব্যক্তির দুই স্ত্রীর নামেই রয়েছে টিসিবির ফ্যামেলি কার্ড, যা দিয়ে সুবিধাও ভোগ করেছেন তিনি। যদিও এক পরিবারে একটি কার্ড থাকার কথা। অন্যদিকে, স্মার্ট কার্ড হাতে পেয়ে অনেকেই পড়েছেন নতুন সমস্যায়। পণ্য কিনতে গেলে সেই কার্ডকে টিসিবির তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে যুক্ত করতে পারছেন না ডিলাররা — এমন অভিযোগ তাদের।
বাস্তবতা স্বীকার করলেও এর দায় নিতে নারাজ ডিলাররা। টিসিবি ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে ডিলারদের কোনো হাত নেই। ডিলাররা সুষ্ঠুভাবেই পণ্য গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে।
তাহলে সমস্যা কোথায় — ভুয়া তথ্যে নাকি সার্ভারে? যোগাযোগ করলে ঢাকা উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমানের দাবি, বর্তমানে তথ্য জালিয়াতি করে টিসিবির কার্ড তৈরি করার কোনো সুযোগ নেই।
যদিও জনপ্রতিনিধিরা ভুলভাল তথ্যে কার্ড বানানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি টিসিবির। সংস্থাটির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, ভুলভাল তথ্য দিয়ে অনেকেই কার্ড বানানোর চেষ্টা করছেন। এখানে টিসিবির কোনো দোষ নেই। যিনি ডাটা এন্ট্রি করছেন, এটি তার ভুল বা কারসাজি হতে পারে।
তাহলে কোন সমস্যায় কাঙ্ক্ষিত পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছেন না অনেক কার্ডধারী? কার্ড তৈরির দায়িত্বে থাকা স্পেক্ট্রাম আইটি সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কার্ড শুধু হাতে পেলেই হবে না। সঠিক উপায়ে তা একটিভেট করতে হবে। তা না হলে ওই কার্ডের মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারবেন না সুবিধাভোগীরা।
এখন পর্যন্ত এক কোটি স্মার্ট ফ্যামেলি কার্ডের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৬০ লাখ কার্ড। সব কার্ড বিতরণ হলে একই পরিবারে একাধিক কার্ড থাকবে না বলে দাবি টিসিবি ও স্পেক্ট্রামের।