বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

একদিনের ব্যবধানে হিলিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা

  • আপডেটের সময় : সোমবার, ৮ জুলাই, ২০২৪, ১২.৫৪ পিএম
  • ৩৭ টাইম ভিউ

চাহিদার তুলনায় আমদানি কম হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দুই দেশেই শুল্ক দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করার কারণেই দাম বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী হিলি বন্দর ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

হিলি স্থলবন্দরে প্রতিদিন ২০ থেকে ৩০ ট্রাক পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও, সেখানে আমদানি হচ্ছে মাত্র ১ থেকে ২ ট্রাক। সেই তুলনায় এ বন্দরে পাইকারদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এদিন বন্দরে দুই ধরনের পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে- নাসিক ও ইন্দ্রজাত। প্রতি কেজি ইন্দ্রজাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা আর নাসিক বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়; যা মাত্র একদিনের ব্যবধানেই ১০ থেকে ১৫ টাকা বাড়তি।

বন্দরে পেঁয়াজ দিতে আসা পাইকার সেলিম মিয়া বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের সংকট থাকায় প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে দাম। সেই সঙ্গে চাহিদাও বেড়েছে পেঁয়াজের।

বন্দরের আরেক পাইকার বলেন, অনেকদিন পর হিলিবন্দরে পেঁয়াজ নিতে আসা হয়েছে। ৮৬ টাকা কেজি দরে ৩ টন পেঁয়াজ কেনা হয়েছে। বেশি দামে পেঁয়াজ কিনলে লোকসানের আশংকাই বেশি থাকে।

চাহিদা থাকার পরও কেন পেঁয়াজের আমদানি কম হচ্ছে? আর দাম কেন বাড়ছে?- এই বিষয়ে জানতে চাইলে আমদানিকারক হারুন উর রশিদ বলেন, বর্তমানে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিলেও, এর মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি রফতানিতে অতিরিক্ত শুল্ক দিতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির পর, বাংলাদেশ সরকারকেও আবার আলাদা করে শুল্ক দিতে হয়। তাই খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি হচ্ছে। শুল্ক ছাড়াও পরিবহন ভাড়াসহ সব মিলিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আনার পরে এর প্রতি কেজি দাঁড়াচ্ছে ৮০ টাকা।

সোমবার হিলি বন্দরে আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকের চেয়ে পাইকারের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। ছবি: সময় সংবাদ

হিলি বন্দরের আরেক আমদানিকারক আলহাজ শহিদুল ইসলাম বলেন, এই মুহূর্তে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে, তাই দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তাছাড়া চাহিদা থাকলেও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারছি না। কারণ ভারতের নির্ধারিত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি করতে ৫৫০ মার্কিন ডলার লাগছে।

তিনি আরও বলেন, ব্যাংকগুলো যদি আমদানিকারকদের সহজ শর্তে এলসি দিত, সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের আমদানি বৃদ্ধি করা সম্ভব হতো। আমদানিকারকরা তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এরইমধ্যে পেঁয়াজ আমদানি করার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী এক মাসের মধ্যে পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করলে দাম সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে বলে জানান তিনি।

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি মাসের প্রথম ৫ দিনে ভারতীয় ১২ ট্রাকে ৩৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও, শুধু রোববার (৭ জুলাই) একদিনে আমদানি হয়েছে ৫ ট্রাকে ১৪৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র