বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
বসুন্ধরা-বেক্সিমকো-এস আলমসহ সাত কোম্পানির শেয়ার স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনের সময় ঠিক করতে হবে’ হাত-পা বেঁধে শিক্ষর্থীকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা ‘ফাত্তাহ-১’ হাইপারসনিকসহ ইরানের অস্ত্রাগারের যেসব ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ‘বড় ভুল’ করেছে ইরান, হুমকি নেতানিয়াহুর রংপুর মহানগর আ. লীগের সাবেক সহ-সভাপতি পান্না গ্রেফতার সিটি-আর্সেনালের জয়, সেল্টিককে গোলের বন্যায় ভাসালো ডর্টমুন্ড পাল্টা জবাবে ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামোতে ইসরায়েলি হামলার ঝুঁকি নারায়ণগঞ্জে শামীম ওসমান ও আইভীসহ ৪০১ জনের নামে হত্যা মামলা মারা গেছেন আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অটোরিকশা চালক সুফিয়ান

জোয়ারে বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, ঠেকাবে কে?

  • আপডেটের সময় : মঙ্গলবার, ২৫ জুন, ২০২৪, ৩.৩১ এএম
  • ৩৭ টাইম ভিউ

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গাবুরার খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারের পানির তোড়ে বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন গাবুরা ইউনিয়নের সোরা, ডুমুরিয়া গ্রামসহ পাশের কয়েকটি গ্রামের প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জিও বস্তা ফেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙন প্রতিরোধের আশ্বাস দিলেও, শেষ রক্ষা হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তারা।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে না। যেকোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের আরেক পাশে ভেঙে গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের মালিবাড়ির দৃষ্টিনন্দন এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেয়। ওই ভেড়িবাঁধ জোয়ারের পানির তোড়ে ধসে পড়ে। এতে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনসহ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করে দ্রুত মেরামতের আহবান জানান।

এই বাঁধ ভেঙে গেলে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে ৫-৭ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়বে। বাড়িঘর বসবাসের ঝুঁকিতে, মাছের ঘের ও ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আগে মেরামতের দাবি জানান এলাকাবাসী।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে খোলপেটুয়া নদীর জোয়ারে ভয়াবহ ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ। ছবি: সময় সংবাদ

এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, এখনও পরিস্থিতি ভালো না। পানি উন্নয়ন বোর্ড পর্যাপ্ত বস্তা ও বালি এনেছে। তবে লোকজনের অভাব রয়েছে। তিনি জোয়ারের আগে ঝুঁকি এড়াতে জনবল বাড়ানোর দাবি জানান।
গাবুরার সোরা গ্রামের মালীবাড়িসংলগ্ন বেড়িবাঁধে পূর্ণিমার জোয়ারের পানির তোড়ে বাঁধের বেশ কিছু অংশ ভেঙেছে বলে স্বীকার করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দীন।

তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বালুভর্তি জিও বস্তা ফেলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙন প্রতিরোধ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শনিবার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের সোরা গ্রামের মালিবাড়ি এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৫ নম্বর পোল্ডারের বাঁধের ৪০ থেকে ৫০ মিটার অংশ নদীগর্ভে ধসে পড়ে।

আপনার সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরো খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

© All rights reserved © 2024

Design & Developed BY আজকের চিত্র