সুইস ব্যাংকে জমানো টাকা তোড়জোড় করে সরিয়ে ফেলছেন বাংলাদেশিরা। তবে কেন টাকা তুলে নেয়া হচ্ছে এর কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি ব্যাংকটি।
গ্রাহকদের নাম-পরিচয় কঠোরভাবে গোপন রাখায় বিশ্বে ধনীদের অর্থ গোপনে গচ্ছিত রাখার জন্য বহুদিনের খ্যাতি আছে সুইস ব্যাংকের। তাই অবৈধ আয় আর কর ফাঁকি দিয়ে জমানো টাকার ঠাঁই হয় ব্যাংকটিতে। প্রায় এক দশক ধরে বৃদ্ধির পর গত দুই বছরে ব্যাংকটিতে কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশিদের আমানত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) প্রকাশিত ব্যাংকটির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২২ সালে ব্যাংকটিতে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। গত বছর যা নেমে এসেছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ফ্রাঁ-তে।
বছর ব্যবধানে ব্যাংকটিতে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ কমেছে প্রায় ৬৮ শতাংশ। ২০২১ সালে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ ফ্রাঁ।
সুইস ব্যাংক থেকে শুধু যে বাংলাদেশিরা তাদের সঞ্চিত অর্থ সরিয়ে নিচ্ছেন না ব্যাপারটা তা নয়। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ভারত-পাকিস্তানিরাও সুইস ব্যাংক থেকে বেশ তোড়জোড় করেই তুলে ফেলছেন তাদের আমানত।
তবে কেন সুইস ব্যাংক বিমুখ হচ্ছেন গ্রাহকরা, এর কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ জানায়নি কর্তৃপক্ষ।