ধীরে ধীরে পানি নামলেও দুর্ভোগ কমেনি বানভাসিদের। এখনও দুর্দশায় সিলেটের ১৩ উপজেলার মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, ঠিকঠাক ত্রাণ ও সহযোগিতা না পাওয়ার। ঘর ছেড়ে অবশেষে উঠোনে নেমেছে পানি, তবে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে খুব যত্নে গড়া কমলা রাণীর ভিটের মাটিটুকু।বানভাসি জীবনটা এখন যেনো অনেকটাই জসীমউদ্দিনের আসমানী। বৃষ্টি হলেই ভিজে যায় ঘর, আর হাওয়াতে নড়বড়ে।
দুর্ভোগের এমন ঘেরাটোপে এখনও জলবন্দী সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ ও গোয়াইনঘাটসহ ১৩টি উপজেলা। যেখানে দুর্দশাটা অনেকটাই বেশি হাওর মানুষের। কাছেপিঠে নেই আশ্রয়কেন্দ্র, ঠিকঠাক মিলছেনা ত্রাণ আর সহযোগিতাও।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘর থেকে শুধু পানি নেমেছে, এছাড়া খাওয়ার কষ্ট, থাকার কষ্ট, কাছাকাছি নেই কোন আশ্রয়কেন্দ্র। এর মতো আর কষ্ট নেই।
গেলো দুদিন বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও, হাওরবাসির ধারকর্জের জীবন কাটছে শঙ্কার ভারেই; আর তাই সূর্যটা শরীরজুড়ে চমকালেও, মুখটা থাকে মেঘের মতোই থমথমে। এমন প্রেক্ষাপট কবে বদলাবে?